ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগের হ-য-ব-র-ল অবস্থা
সারাদেশের মতো ঝিনাইদহে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানতে একেবারেই উদাসীন মানুষ। এরই মধ্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগের অবস্থা যেন হ-য-ব-র-ল। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল করোনা বিভাগে। এতে করে ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভাগটিতে শনাক্ত হওয়া রোগীর কাছেই রাখা হচ্ছে নমুনা দিতে আসা ব্যক্তিকেও রাখা হয়েছে।
এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২,৪৩৮ জন। আর করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। সম্প্রতি দিনে গড়ে ১০ থেকে ১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
বুধবার সকালে করোনা বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের কাছে স্বজনরা অবাধে যাতায়াত করছেন কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই। করোনা রোগীর সঙ্গে দেখা করে বাইরে ফিরে আসতে দেখা গেছে তারা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তারা আবার মানুষের সঙ্গে মিশছেন নির্দ্বিধায়।
এছাড়া, করোনা বিভাগে দায়িত্বরত ব্যক্তিরাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেলে ওই বিভাগে কর্মরত নার্স বাইরে এসে গেট লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সামনে থেকে সবাইকে সরিয়ে দেন।
করোনা বিভাগ থেকে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার সময় মঞ্জুরা বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘আমার রোগী ভর্তি আছে। সেখানে আমি তার জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলাম। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
এমনই নানা অজুহাত দেখান অন্যান্যরাও।
সদর হাসপাতালের সাধারন বিভাগে রোগী দেখতে আসা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা বিভাগে মানুষ অবাধে যাতাযাত করছে, কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সেখান থেকে বেরিয়ে মানুষের সাথে মিশছে, ঘুরছে হাট-বাজারে। এতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঝিনাইদবাসীকে এর মাশুল গুনতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে সদর হাসপাতালের সুপার ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘এ বিষয়ে মানুষকে কোনোভাবেই সচেতন করতে পারছি না। তাদেরকে নিষেধ করলেও কথা শুনছে না। লোকবল সঙ্কটের কারণে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশ চেয়ে আবেদন করেছি।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসএস/এএসএম