হলুদ তরমুজ চাষে সফল কৃষক জহিরুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২১

তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক জহিরুল ইসলাম। দেখতে নয়নাভিরাম আর খেতে সুস্বাদু এই তরমুজ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এলাকার অন্য ফল চাষিরাও।

মেহেরপুরের গাংনীর গাড়াবাড়িয়া মাঠে জহিরুল ইসলাসের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। জেলায় এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। তাই এ তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। একই সঙ্গে নিচ্ছেন চাষের পরামর্শও।

jagonews24

চাষি জহিরুল ইসলাম জানান, অনলাইন থেকে উৎসাহিত হয়ে এ তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হন তিনি। অনলাইল থেকে ঠিকানা নিয়ে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে বিশেষ কায়দায় জমি প্রস্তুত করে বীজ রোপণ করেন। কচি ডগা থেকে লতা বেড়ে ওঠা পর্যন্ত কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। সেক্স ফেরোমিন পদ্ধতিতে বালাই দমন করা হয়।

তিনি আরও জানান, রোপণ থেকে ফল পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ৬০ দিন। বীজ, সার, মাচা আর সুতোর জাল বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর তাতে পাওয়া যায় অন্তত দুই লাখ টাকা।

চায়না জাতের এ তরমুজ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে এসে ভিড জমাচ্ছেন। ফল চাষিরাও পরামর্শ নিচ্ছেন এ তরমুজ চাষের।

jagonews24

পরামর্শ নিতে আসা চাষি ইন্তাজুল জানান, হলুদ তরমুজ চাষের খবর শুনে তিনি পরামর্শ নিতে এসেছেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এ তরমুজ চাষে বেশ লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা জানালেন চাষি কামরুল ইসলাম ও ইয়ারুল।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। চাষি জহিরুল এ অঞ্চলে প্রথম এ তরমুজ আবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অনেকেই আসছেন এ জাতের তরমুজ চাষের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে। লাভজনক এ তরমুজ চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আসিফ ইকবাল/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।