অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় নাগরিককে নেয়া হলো কোয়ারেন্টাইনে
অনুপ্রবেশ করে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামে ভারতীয় এক নাগরিক স্ত্রীর বসতবাড়িতে অবস্থান করছেন এমন খবরে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় এবং তিনি যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সে বাড়িও লকডাউন করে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামে ভারত থেকে এসে একজন লোক চায়ের দোকানি হাসিনার বাড়িতে উঠেছেন। এতে করোনা আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (১৯ মে) বিকেলে ওই গ্রামে হাসিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তার স্বামী বাদশা ভাস্কর একজন ভারতীয় নাগরিক। তার বার নাম মৃত নান্দু ভাস্কর। তিনি কর্ণটকের বাসিন্দা এবং হোটেলের বাবুর্চি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামী সীমান্ত পার হয়ে তার বাড়িতে এসেছেন।
পাসপোর্ট আছে কি-না জানতে চাইলে হাসিনা বেগম জানান, তিনি বেনাপোল সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে পার হয়েছেন। এ সময় তার স্বামীর নিকটে টাকা পয়সা যা ছিল তারা নিয়ে নিয়েছেন। তার শরীরে কাঁটাতারের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তিনি তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিতে না চাইলেও তার স্বামী বাদশা আত্মহত্যা করবেন বলে জানালে তাকে একটি রুমে রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশী মিনারুল ইসলাম মিন্নু জানান, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপে হয়তো তিনি সেখান থেকে ভয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এছাড়া কোনো প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই তাকে গ্রামে রাখা সম্ভব না। এছাড়া তিনি অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মেয়াদ আলী বলেন, ‘ভারত থেকে আগত একজন ভারতীয় নাগরিকের বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। সে নাকি ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে আমার গ্রামে এসেছে। আমি বিষয়টি বেনাপোল পোর্ট থানায় অবহিত করেছি।’
বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে এসে চেকপোস্টের জুয়েল হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসিনা বেগমের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
মো. জামাল হোসেন/এসজে/এমকেএইচ