যশোরে সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন, লকডাউনে ‘না’
যশোরে করোনা সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে একাধিক টিম। জেলা জুড়ে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। তবে এখনই স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ বিধিনিষেধ বা লকডাউনে যাচ্ছে না প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, লকডাউন নয়, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ একটু বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। যশোরে করোনা প্রতিরোধ কমিটি প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে আলোচনা করছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি আরোপিত আছে তা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন হলে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, গত ২৬ এপ্রিল ছয়জন বাংলাদেশি যাত্রী বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে জেলা প্রশাসন তাদের গ্রহণ করে। ২ জুন (বুধবার) পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চার হাজার ৩৭১ জন প্রবেশ করেছেন। ভারতফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বেনাপোল এলাকায় ১৩টি হোটেল, ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ মাদরাসা হোস্টেল ও যশোরের ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও শেখ হাসিনা আইটি পার্ক, এফপিএবির হোস্টেলসহ মোট ২০টি স্থান কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়।
এসময় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও যশোর প্রেস ক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
মিলন রহমান/আরএইচ/জিকেএস