স্কুল খোলার খবরে শিশুমনে আনন্দের ঢেউ
দীর্ঘদিন পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলছে। এমন খবরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ। এ আনন্দের ঢেউ লেগেছে পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের মধ্যেও। স্কুল খোলার খবর শুনে সোমবারই (৬ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মাথিউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় স্কুলটির শিক্ষার্থীরা। তাদের উদ্দেশ্য স্কুল খোলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া।
প্রধান শিক্ষক স্কুল খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ আর আনন্দের ঢেউ দেখা যায়। বাড়িতে এসে মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে তারা বলে ওঠে আহা! কী আনন্দ! স্কুল খুলবে। আনন্দে তারা পাড়া-মহল্লা মাতিয়ে তোলে। সোমবার এমন দৃশ্যই দেখা গেছে মাথিউরা চা বাগানের বাড়িগুলোতে।
ওই স্কুলটিতে ২৭৩ জন ছাত্রছাত্রী ও চারজন শিক্ষক রয়েছেন। কথা হয় স্কুুলের শিক্ষার্থী শিউলি, বৃষ্টি, সাবিত্রী, আকাশ ও বিশ্বজিতের সঙ্গে। তারা বলে, অনেকদিন পর স্কুলের তালা খুলবে জেনে মনে আনন্দ লাগছে। এতো দিন পর আমরা আবার পড়ার টেবিলে বসবো। স্কুলে যাবো, বন্ধুদের সাথে দেখা হবে। কী আনন্দ, কী মজা!
৯ নম্বর শ্রমিক লাইনের বাসিন্দা অভিভাবক রামজিৎ রবিদাস বলেন, স্কুল খুলবে এমন খবর শুনে খুব আনন্দ লাগছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করতো না। শিশুরা উচ্ছৃঙ্খল জীবনের দিকে যাচ্ছিল। এখন তাদের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
অভিভাবক পার্বতী রবিদাস বলেন, স্কুল খুলবে শুনে খুব আনন্দ লাগছে। ছেলেমেয়েরা আবার পড়ার টেবিলে বসবে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা খেলাধুলা করে দিন কাটাতো। স্কুলে গেলে নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করবে। জীবনটা রুটিন কাজের মধ্যে ফিরে আসবে। এতে আমরা অভিভাবকরা শান্তি পাবো।
মাথিউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্জুন গৌড় বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি চা বাগানে অবস্থিত। এখানে চা শ্রমিকদের সন্তানেরা পড়ালেখা করে। আমার বিদ্যালয়ে ২৭৩ জন ছাত্রছাত্রী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা খুবই আন্তরিক, খবর পেলে দৌড়ে স্কুলে আসে। স্কুলে আসার আগ্রহ তাদের অনেক বেশি। ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার খবর শোনার পর থেকে প্রতিদিনই খবর নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল খোলার খবর শুনে আনন্দে আটখানা হয়ে আছে।
আব্দুল আজিজ/ইউএইচ/জিকেএস