প্রচারণায় গিয়ে হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্ত্রী-মেয়ে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
হামলায় আহত প্রার্থীর স্ত্রী-মেয়ে-শাশুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের পক্ষে প্রচারণায় গিয়ে তার স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়ির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বাজিতপুর ইউপির মাচ্চর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী তিশা আফরোজ (৩৫), মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আক্তার (২০) ও শাশুড়ি সীমা আক্তার (৫৫)। আহত তিনজনকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে বাজিতপুর বাজার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী, মেয়ে, শাশুড়িসহ ৮ থেকে ১০ জন নারী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শেষে মাচ্চর এলাকায় গেলে ওই ইউপির প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিম ফকিরের সমর্থকরা তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে আবদুল হালিম আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমার লোকজন মাচ্চর, সুতারকান্দি, কোদালিয়া, নয়াকান্দি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গেলেই হামলা শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আবদুল হালিম ফকির বলেন, আমার লোকজন কোনো প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করেনি। সিরাজুল তার পরাজয় জেনেই আমার বিরুদ্ধে কথিত সব অভিযোগ দিচ্ছে যার কোনো ভিত্তি নেই।

হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনে বাবার পক্ষে আজ প্রথম প্রচারণায় নেমেছি। আর নেমেই প্রতিপক্ষ আবদুল হালিম ফকিরের সমর্থক আবুল হোসেন ফকির, আলী হোসেন, কবির হোসেন, লতিফসহ ৮-১০ জন লোক আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আমাদের পুলিশি টহল আছে। বাজিতপুর এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ তাৎক্ষণিক গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কে বাজিতপুর ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সত্যতা যাচাই করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল হালিম ফকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

এ কে এম নাসিরুল হক/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।