পর্যটকে মুখরিত মৌলভীবাজার
করোনায় মুখ থুবড়ে পড়ার পর ফের জমতে শুরু করেছে মৌলভীবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমনে মুখর হয়ে উঠছে বিভিন্ন পর্যটন স্পট।
স্থানীয় ও পর্যটনসংশ্লিষ্টরা জানান, শীত মৌসুমে মৌলভীবাজারে হাজারো পর্যটক ভিড় করলেও করোনার কারণে প্রায় দুই বছর তেমন পর্যটক ছিল না। দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ ছাড়াও জেলার দুই শতাধিক ছোট-বড় হোটেল, রিসোর্ট, ইকো-রিসোর্টে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি একাত্তর, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, কলাবন, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, বাইক্কা বিল হাওর, হাকালুকি হাওর এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে মানুষ ছুটছে।
পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ চা বাগান। ১৬৬ চা বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজারেই আছে ৯৩টি। প্রতিদিন এসব চা বাগানে শত শত মানুষ ঘুরতে আসেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ফটকের সামনের ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন জানান, পর্যটক কম থাকায় সংকটে পড়ে গিয়েছিলাম। আগে দিনে ১০-১৫ হাজার টাকা বিক্রি হলেও সেটাতে ধস নামে।
রাধানগর বালিশিরা রিসোর্টের চেয়ারম্যান শহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আশা করছি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
জেলার সিনিয়র ট্যুর গাইড আব্দুর রকিব বলেন, পর্যটকদের গাইড করি। তাই বেকার হয়ে পড়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটক আসতে শুরু করেছে।
মৌলভীবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ নোয়াব আলী বলেন, দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী জনান, লাউয়াছড়ায় এবার রাজস্ব কম। পরিস্থিতি ভালো হলে আবারও বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়বে।
আব্দুল আজিজ/আরএইচ/এএসএম