ডুলাহাজারার সবুজ বনের বুক চিরে গড়ে উঠছে কৃত্রিম লেক
প্রতিষ্ঠার ২৪ বছরের মাথায় অত্যাধুনিক রূপ পাচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। মহাসড়ক থেকে পার্কে প্রবেশের মূল গেট পর্যন্ত এলাকায় আশপাশে দখলে থাকা বনভূমি উদ্ধারের পর তৈরি করা হচ্ছে বাস, মাইক্রো এবং মোটরসাইকেলের আলাদা পার্কিং। একদিক দিয়ে প্রবেশ, অন্যদিক দিয়ে বের নির্দেশনায় পার্কিংয়ে থাকছে নতুনত্ব।
পার্ক লাগোয়া পূর্বপাশেই গড়া হয়েছে সাদা উড়ন্ত পায়রা হাতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। ভাস্কর্য এলাকাটিতে সবুজের আবরণের পাশাপাশি করা হচ্ছে ফুল বাগানও। পার্কের দক্ষিণে পিকনিক স্পটের মাঝে করা হচ্ছে পর্যটকদের জন্য রেস্টিং শেড। এরই কূল ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে সবুজের বুকে জলজ বিনোদনে গড়ে তোলা হচ্ছে কৃত্রিম লেক।

পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন কক্সবাজার আসছেন। কিন্তু কক্সবাজার জেলার সমতল-উপকূল বা পাহাড়ি এলাকা এবং আশপাশের জেলা-উপজেলার শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান কিংবা যৌথ পরিবারের লোকজন সাফারি পার্ক এলাকায় বার্ষিক মিলন মেলার আয়োজন করেন। প্রাণীকূলের নিরাপত্তায় পার্কের ভেতর কোনো ধরনের রান্না করা বা রান্না জাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। তাই পার্কের বাইরে ডানে-বায়ে কয়েকটি স্থানে করা হয়েছে পিকনিক স্পট। এর মাঝে দক্ষিণপাশের স্পটটির লাগোয়ো টিলার পাদদেশের নিচু জমিটি আঁকা-বাঁকা অবয়বে তৈরী। সেখানেই একটি কৃত্রিম লেক তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রস্থে ৭০-৮০ ফুট লেকটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৬০০ ফুট। গভীরতার জন্য এ স্থান থেকে মাটি তোলা হবে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার ঘনফুট। এ মাটি দিয়ে লেকের দু’পাশের পাড় সম্প্রসারণ, দুটি স্লুইচ গেইট, ডেক্স, দু’পাড়ে অনায়াসে হাঁটার পথ তৈরি করা হবে। পরিপূর্ণ হলে পানিভর্তি লেকে নামানো হবে প্যাডেলচালিত ছোট নৌকা।

২০২১ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। লেকের চারপাশে সবুজ গাছের পাশাপাশি ফুলের বাগানও করার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’পাড়ে হাঁটতে গিয়ে ক্লান্তি কমাতে বসানো হবে বেঞ্চ। লেক সম্পন্ন হলে এটি অন্য স্পটের মতো ইজারা দিয়ে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে। লেকটি সচল হলে পার্কটি পর্যটন বিকাশে আরো একধাপ এগুবে বলে মন্তব্য করেন বন কর্মকর্তা মাজহার।
এফএ