নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটা
সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মৃদু ঢেউয়ের গর্জন। তিন মোহনায় নতুন সাগরলতার দোলের সঙ্গে রয়েছে সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। গঙ্গামতিতে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। সবমিলিয়ে কুয়াকাটার প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে তার আসল রূপ।
বছরের বেশিরভাগই কমবেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। তবে এ বছর পুরো রমজানজুড়ে বন্ধ রয়েছে সব হোটেল মোটেল। এছাড়া করোনার ঊর্ধ্বগতিতে গত দুই বছরে তেমন আগমন ঘটেনি পর্যটকের। তবে এ বছর করোনার প্রকোপ তেমন না থাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অর্ধলক্ষাধিক পর্যটকের আগমনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ হোটেল মোটেলে বুকিং হয়েছে।
তাই পর্যটক বরণে একদিকে ধোয়া মোছা আর রং তুলির আচড়ে সেজেছে হোটেল-মোটেলগুলা অপরদিকে প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার আসল রূপ।

বিচ ট্যুর গাইড জুয়েল রানা জাগো নিউজকে জানান, শীত শেষে বর্ষায় আগ মুহূর্তে রয়েছে ঈদের ছুটি। সবমিলিয়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমনের সুন্দর একটি সময় এখন। কুয়াকাটা ভ্রমণে বর্ষা মৌসুমকে এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। কারণ বর্ষায় প্রকৃতি তার আসল রূপে ফিরে।
গ্রিন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন রাজু জাগো নিউজকে জানান, দীর্ঘ একমাস পর্যটক শূন্য ছিলো কুয়াকাটা। এ সুযোগে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টের প্রকৃতি ডানা মেলেছে। নতুন প্রকৃতি উপভোগের পাশাপাশি সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউয়ে মেতে উঠবে পর্যটকরা।

হোটেল রেইন ড্রপসের পরিচালক দীপঙ্কর চন্দ্র সিকদার জাগো নিউজকে জানান, গত একমাসে তেমন পর্যটক পাইনি। তাই এ সময়কে কাজে লাগিয়ে হোটেলের ধোয়া-মোছা, পরিষ্কার, নতুনত্ব ফিরিয়ে আনাসহ সবকিছু শেষ করেছি। এখন পর্যন্ত ৬০-৭০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। আশা করি বাকিগুলো ঈদের দু-এক দিনের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক এম এ মিজানুর রহমান জানান, ঈদে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা ও নৌ বিভাগের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে এখন থেকেই সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/জেআইএম