বরগুনায় চারদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে ৮ গ্রাম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২

বরগুনার প্রধান নদীগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে পানি। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে তালতলী উপজেলার বেশকিছু গ্রামে। ওই এলাকার আটটি গ্রাম গত চারদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপকারী মাহাতাব হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে বরগুনার খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বুধবার বিকেল চারটার দিকে বিষখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এতে করে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে কিছু স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।

জোয়ারের চাপে তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকায় এরই মধ্যে প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে হাজারো বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও মাছের ঘের।

তেতুলবাড়িয়া গ্রামের সাদ্দাম হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, পায়রা নদীপাড়ের বাঁধটি আগেই বিধ্বস্ত ছিল। নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়তে শুরু করলে রোববার (১১ জুলাই) প্রথম জোয়ারের পানি গ্রামে ঢোকে। এর পর প্রতিদিনই জোয়ারের চাপ বাড়ছে, আর প্রতিদিনই বাঁধ বিলীন হচ্ছে। গত তিনদিনে বেড়িবাঁধের প্রায় ১০০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ভাসতে হচ্ছে আট গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে। ৫০ টিরও বেশি মাছের ঘের থেকে মাছ বেড়িয়ে গেছে। গ্রামগুলোর বাসিন্দারা এখন রান্না আর খাওয়া নিয়ে বিপদে আছে।

Barguna-2

গ্রামটির কৃষক আবু মুন্সি জাগো নিউজকে জানান, আমনের বীজ বপন করেছেন তিনি। প্রতিদিন লবণ পানিতে তলিয়ে থাকায় তা এখন পচতে শুরু করেছে। বিজতলা নষ্ট হয়ে গেলে ফের চারা তৈরি কষ্টকর হবে।

কথা হয় গ্রামটির গৃহবধূ মাহফুজা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, ঘরের চুলায় পানি ঢুকে পড়েছে রোববার রাতে। সকাল থেকে রান্না করতে পারছেন না তিনি। এখন পর্যন্ত পরিবারের সবাই ঘরের শুকনা খাবার খেয়ে আছেন। তবে সে শুকনা খাবার এখন শেষ হয়ে এলেও সহায়তা নিয়ে আসেননি কেউ।

তালতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর জাগো নিউজকে জানান, দ্রুত ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছেন তিনি। শুকনা খাবার বা খাদ্য সহায়তার জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।