চারদিন পর সরস্বতী পূজা : ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা


প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজার এখনো চারদিন বাকি। এরই মধ্যে প্রতিমা শিল্পীদের তুলির আচড়ে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠছে বিদ্যা দেবী সরস্বতীর মুখ।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বাণী অর্চনায় উদ্যাপতি হবে সরস্বতী পূজা। এ পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মালম্বী ও ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

এদিকে, সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ আশ্রম, শিববাড়ি, আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। পূজার এই আগ মুহূর্তে এসে এখন দিন-রাত প্রতিমা তৈরি ও প্রতিমায় রং দেয়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিমা শিল্পীরা। রং দেয়া শেষে প্রতিমায় পোষাক ও অলংকার পড়িয়ে দৃষ্টি নন্দন করা হবে।

Sarosoti-Puja
লোকনাথ আশ্রমের প্রতিমা শিল্পী ঝন্টু পাল জাগো নিউজকে জানান, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তারা অন্তত ১০ জন শহরের বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রমে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি ও রং করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কাজের চাপে একটু দম ফেলারও যেন ফুরসত নেই তাদের। সরস্বতী দেবীর প্রতিটি প্রতিমা সর্ব নিম্ন দেড় হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যা দেবী সরস্বতীর আগমনের আনন্দে উদ্বেলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ভক্ত জাগো নিউজকে জানান, প্রতিবছরই তারা সরস্বতী দেবীর কাছে বিদ্যার জন্য প্রার্থনা করেন। এবারও তারা দেবীর কাছে বিদ্যা ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করবেন।

পূজার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রণব কুমার দাস উত্তম জাগো নিউজকে জানান, জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার স্কুল-কলেজ ও পাড়া-মহল্লার ক্লাবের উদ্যোগে এবং বাসা-বাড়িতে স্বরসতী পূজা উদ্যাপিত হবে। আমরা আশা করছি কোনো ধরণের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে জাকজমক পরিবেশে পূজা সম্পন্ন হবে।

Sarosoti-Puja
অন্যদিকে সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জেলা পুলিশ।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, স্বরসতী পূজা উপলক্ষে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশি চেকপোস্ট থাকবে এবং পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা মাঠে কাজ করবেন বলেও জানান পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।