ভৈরবে দিনদিন বাড়ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
ভৈরবে দিনদিন বাড়ছে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ। যত্রতত্র সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও বাজার এলাকায় কয়েকশো অবৈধ সংযোগ রয়েছে। সেসব সংযোগ নেওয়ার সময় কোনোরকম নিয়ম না মেনেই অসদুপায়ে দোকান বা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য অটোরিকশার গ্যারেজ। সেসব গ্যারেজে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে চার্জ করা হয়ে থাকে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ।
জানতে চাইলে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকার মুদি দোকানি মাসুদ মিয়া বলেন, পিডিপি অফিসের লোকের মাধ্যমেই আমরা দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি। তবে তাদের বাড়তি টাকা দিয়েই এসব লাইন নিতে হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, দোকানে ব্যবসা করতে তো বিদ্যুতের দরকার হয়। সেজন্যই আমরা বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মিটারসহ লাইন নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যদিও বিদ্যুতের নতুন লাইন নিতে নিয়ম অনুযায়ী দোকানের মালিকানাসহ ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স দরকার পড়ে কিন্তু সেসব কাগজপত্র না থাকায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের বাড়তি টাকা দিয়ে সংযোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, গত কয়েক দিন আগে রেলওয়ে স্টেশনে এক অভিযানে গিয়ে দেখলাম স্টেশন এলাকার রেলের জায়গায় অবৈধ দোকানপাট, হোটেলে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া রয়েছে। এখন প্রশ্ন এসব সরকারি জায়গার দোকানগুলোতে তারা কীভাবে বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছেন। এরকম অসংখ্য সংযোগ রয়েছে সেসব সংযোগের ক্ষেত্রে কোনোরকম নিয়ম না মেনেই লাইন দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অভিযানের সময় এসব অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ দেখতে পান বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ ভৈরব অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন , এসব অবৈধ লাইন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমি কয়েক মাস হয়েছে এখানে চাকরিতে যোগ দিয়েছি। দ্রুতই অবৈধ বিদ্যুতের লাইন অপসারণে অভিযান পরিচালিত হবে।
এছাড়া তিনি জানান, ব্যবসায়িক এলাকায় দোকানগুলোর দোকানে প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে। যাতে কেউ অবৈধ সংযোগ দিতে না পারে।
রাজীবুল হাসান/এমআরআর/এমএস