থানার আঙিনায় বাহারি সবজি চাষ
পার্বত্য খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার আঙিনায় পতিত জায়গায় সবজি চাষ করছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের হাতে সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন তিনি। থানার অন্য সদস্যরাও তাকে সহযোগিতা করেন। শুধু সবজি নয়, পাহাড়ি বন-জঙ্গলে মোড়ানো প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছেন ফলজ বাগানও।

সম্প্রতি গুইমারা থানা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মাচাংয়ে ঝুলছে বিভিন্ন সাইজের লাউ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে শিম, বরবটি, ঝিঙে, কাঁচামরিচ, বেগুন, শসা, কলমিশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। সবুজের মাঝে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে লাল শাক। আছে টমেটো আর দেশি ধনেপাতা। হলুদ রং ছড়িয়ে নিজের আগমনের খবর জানান দিচ্ছে মিষ্টি কুমড়া।

সবজির নিয়মিত পরিচর্যা করা কনস্টেবল মো. আতিকুর রহমান বলেন, ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে সবজি ও ফলের বাগানে পরিচর্যা করি। বাড়তি পরিশ্রম হলেও আমরা সবাই উৎসাহ নিয়েই কাজ করি। এখানকার মাটি উর্বর, একটু পরিচর্চায়ই ভালো ফলন পাওয়া যায়।

থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহেদা আক্তার বলেন, সবজি বাগানের সামনে দাঁড়ালে মনে হয় নিজের বাড়িতেই আছি। নিজেদের হাতেই ক্ষেত থেকে লাউ, শাক, কুমড়া তুলে খাওয়ার যে স্বাদ সেটা আমরা সবাই উপভোগ করি।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি কিংবা পতিত না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা আর খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের নির্দেশে যোগদানের একমাস না যেতেই থানার আঙিনার ফাঁকা জায়গায় বিষমুক্ত সবজি চাষ করছি। থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ৫০ শতাংশ সবজির চাহিদা এখান থেকে পূরণ হচ্ছে। পাশাপাশি থানা কমপাউন্ডজুড়ে অন্তত ৩৫ জাতের ফলের বাগান গড়ে তোলার কাজ চলছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসজে/এমএস