নিষিদ্ধ জাল থেকে আসে শুঁটকি উৎপাদনের মাছ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০২২

শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলার হাসারচরে। তবে এ শুঁটকির মাছ আসে নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল থেকে। এ জালে ধরা পড়ছে স্রোতের অনুকূলে চলা সব ধরনের ছোট মাছ। জেলে নেতারা বলছেন, এ নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার বন্ধ না হলে মাছশূন্য হয়ে পড়বে নদীগুলো।

তালতলী শুঁটকি পল্লিতে দেখা যায়, শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হওয়ায় হাসারচর এলাকায় আসতে শুরু করেছে উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে শুঁটকি শুকানো শুরু করেছে ১৬ ব্যবসায়ী। যেখানে তারা শুঁটকির কাঁচামাল সরবরাহের জন্য ৫০টি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পেতেছেন পায়রা, বলেশ্বর ও বিষ খালি নদীর মোহনায়। এসব জালে ধরা পড়ছেন ইলিশসহ সব ধরনের পোনা।

নিষিদ্ধ জাল থেকে আসে শুঁটকি উৎপাদনের মাছ

হাসারচরের শুঁটকি ব্যবসায়ী জামাল আকন বলেন, চরে ১৬ ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদন শুরু করেছেন। ৭-৮ দিনের মধ্যে অন্যরাও এসে পড়বেন। পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মোহনায় মাছ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি উৎপাদন হবে।

মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, নিষিদ্ধ এসব জাল ব্যবহার বন্ধ করতে না পারলে মাছশূন্য হয়ে পড়বে নদী। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সরকার যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়ে থাকে তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে।

নিষিদ্ধ জাল থেকে আসে শুঁটকি উৎপাদনের মাছ

তালতলী নিদ্রার চর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ জাল বন্ধে সাধ্যমতো অভিযান পরিচালনা করছি। শতভাগ অভিযান পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। তাছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য নিজস্ব ট্রলার নেই। অন্য জেলের ট্রলার ভাড়া নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হয়।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, দ্রুত এসব নিষিদ্ধ জাল বন্ধের জন্য কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

নিষিদ্ধ জাল থেকে আসে শুঁটকি উৎপাদনের মাছ

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বেহুন্দি জাল মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ। এটি ব্যবহার করে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা মাছ শিকার করছেন। এনিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।

আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।