শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনা
ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর
শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ট্রাকের পেছনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নিহত ছয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতাল এলাকা।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ছয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের পরিবারকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক
নিহতরা হলেন- খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম (২৮), মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা চালকের সহকারী জিলানি (২৬), পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামে বাসিন্দা রোগী জাহানারা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামের বাসিন্দা স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮) এবং বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসাইল গ্রামে বাসিন্দা সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: তছনছ সাংবাদিক মাসুদ রানার সাজানো সংসার
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহগুলো উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরিবার এসে নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে হস্তান্তর করা হয়।
মাদারীপুর হাইওয়ের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, রেস্ট না নিয়ে টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোয় এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকের পেছনে ঢুকে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন। প্রাথমিক ধারণা দ্রুত গাড়ি চালানোয় এমনটা হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়েছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
মো. ছগির হোসেন/এসজে/এমএস