জাগোনিউজে সংবাদ প্রকাশ
অপসারণ করা হলো নদীর বুকে আড়াআড়ি বাঁধ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে মাছের চলাচলে বাধা ও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। মাছ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন গরিব জেলেরা।
কয়েক মাস ধরে এভাবে মাছ শিকার করা হলেও প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
পরে ২৩ জানুয়ারি জাগোনিউজ২৪.কম-এ নদীর বুকে আড়াআড়ি বাঁধ, বিপাকে গরিব জেলেরা এই শিরোনামে ছবি, ভিডিওসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর তিন দিনের মধ্যে প্রায় দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করে প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা চায়না মিল সংলগ্ন মধুমতি নদীতে অভিযান চালায় প্রশাসন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা মিটুল মোল্লার নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়িভাবে বাঁধটি দেন। এভাবে বাঁধ দেওয়ার কারণে অন্য জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরতে পারতেন না। এতে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়া ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও গরিব জেলেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর নদী বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা
এ ব্যপারে বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন,
জাগোনিউজের সংবাদটি দেখে দ্রুত বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। বাঁধটি বেশ বড়। এটি অপসারণ করতে বেশ সময় লেগেছে। এ বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বাঁধটি আমাদের নজরে ছিল। জাগোনিউজে একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচরের পর অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে বাঁধ নির্মাণকারীরা পালিয়ে যায়। সকাল থেকে প্রায় দিনব্যাপী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো বাঁধটি অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নদীর বুকে আড়াআড়ি বাঁধ, বিপাকে গরিব জেলেরা
অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বানা ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হারুন-অর রশিদ, আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহজুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবর আলী,উপজেলা ক্যাবের সভাপতি কবীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মিয়া রাকিবুল প্রমুখ।
এন কে বি নয়ন/জেএস/জিকেএস