‘সাধু আন্তনির কাছে প্রার্থনায় হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া যায়’

গাজীপুরের কালীগঞ্জে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পরম আরাধ্য ব্যক্তিত্ব সাধু আন্তনির তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯দিন নভেনা প্রার্থনার পর শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া গ্রামে দুই দফায় খ্রিস্টযাগে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হলো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাধু আন্তনির তীর্থ উৎসব। তীর্থ যাত্রীদের আগমনে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে গানে গানে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
১৬৬৩ সাল থেকে কালীগঞ্জের পানজোরা গ্রামে সাধু আন্তনির স্মরণে এ তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। তবে গেল দুই বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সঠিক সময়ে সাধু আন্তনির তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এবছর বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনায় তীর্থ উৎসব পালিত হচ্ছে। সমাগম হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২
এ সময় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি , কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসসাদিকজামান, কালীগঞ্জ পৌর মেয়র এস.এম রবীন হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান, নাগরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম অলিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাধু আন্তনি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী আধ্যাত্মিক পুরুষ ছিলেন। তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্তকে ছুঁয়ে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতো। সাধু আন্তনি ১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে (বর্তমান পর্তুগাল) জন্মগ্রহণ করেন। তার কর্মজীবন কাটে ইতালির পাদুয়ায়। সাধুর অনুসারীরা বিশ্বাস করেন তার সঙ্গে শিশু যিশুর সাক্ষাৎ ঘটেছিল। এর মধ্য দিয়ে সাধু আন্তনি অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে তিন বছরে ৭৭ বন্দির মৃত্যু
তার অনুসারীদের মতে, সাধু আন্তনির নাম মুখে নিলে অন্তরে ভক্তিভাবের জন্ম নেয়। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার জন্য তার কাছে প্রার্থনা করলে সুফল পাওয়া যায়। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ ইহলোক ত্যাগ করেন। তাই প্রতি বছর কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা গ্রামের সাধু আন্তনির তীর্থ উৎসবে প্রচুর সংখ্যক খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত হন।
আব্দুর রহমান আরমান/জেএস/এমএস