দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.০৮ শতাংশ
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এবার এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য তুলে ধরেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর জহির উদ্দিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. তোফাজ্জুর রহমান।
এ সময় সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম চৌধুরী, কলেজ পরিদর্শক আবু সায়েম, সহকারী কলেজ পরিদর্শক খায়রুল আলম, শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মওদুদ করিম বাবু ও সেকশন অফিসার রিয়াজুল ইসলাম রাজু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ
পরিসংখ্যানে জানানো হয়, এবার এ বোর্ডের অধীনে আট জেলার ৬৭১টি প্রতিষ্ঠানের ৯৯ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৮৪৯ জন পরীক্ষার্থী পাস করে। মোট পাসের হার ৭০ দশমিক ০৮ শতাংশ। এবার এ বোর্ড থেকে ১১ হাজার ৮৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ছাত্রী ছয় হাজার ২৫৫ জন এবং ছাত্র পেয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৫ জন।
এবারের পরীক্ষায় ২২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। শতভাগ পাস করেছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।
শিক্ষাবোর্ডের পরিসংখ্যান হিসেবে গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে এ বোর্ডের অধীনে ৭৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ২০২০ সালে করোনার কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় ১০০ শতাংশ, ২০২১ সালে সব বিভাগে তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে সব বিষয়ে পরীক্ষায় ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। তবে জিপিএ-৫ এ মাঝখানে ২০২০ ও ২০২১ সাল বাদ দিলে এবারের ফলাফল বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: ৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮০৩ জন, এর আগে ২০২১ সালে চার হাজার ৪৯ জন, ২০১৮ সালে দুই হাজার ৯৭ জন, ২০১৭ সালে দুই হাজার ৯৮৭ জন এবং ২০১৬ সালে তিন হাজার ৮৯৯ জন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাল করেছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৮৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেরা ৭৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং মেয়েরা ৮২ দশমিক ১৩ শতাংশ পাস করেছে।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জিকেএস