নরসিংদীতে সাবেক মেয়রের ফাঁসির দাবিতে কুশপুতুল দাহ

নরসিংদীর সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
এসময় মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি আদালত প্রাঙ্গণে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে জেলা জজের বাসভবনের সামনে অভিযুক্ত কামরুলের ফাঁসির দাবি জানিয়ে তার কুশপুতুল দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযুক্ত সাবেক মেয়র কামরুল হাজিরা দিতে গেলে ডিসি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি ভেলানগর এলাকায় প্রকাশ্যে খুন হন নরসিংদী পৌরসভার কাউন্সিলর ও ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মানিক মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির হোসেন আমু বাদী হয়ে নরসিংদীর পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘসময় মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ২১ বছর পর সোমবার দুপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল আদালতে হাজিরা দিতে যান।
এদিকে, দীর্ঘদিনেও একজন আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার বিচার না হওয়ায় ফুঁসে ওঠেন নিহতের স্বজন, দলীয় নেতাকর্মী ও মানিকের সমর্থকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানিক সমর্থক ও স্বজনরা ব্যানার ফেস্টুন ও ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলার মোড় থেকে আদালত প্রাঙ্গণে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে উত্তেজিত সমর্থকরা পুলিশের উপস্থিতিতে ডিসি রোডে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় অভিযুক্ত কামরুলের ফাঁসির দাবি জানানোসহ তার কুশপুতুল দাহ করা হয়।
নিহত মানিকের ভাই ও মামলার বাদী আমির ইসলাম আমু বলেন, ‘কামরুল কেবল আমার ভাইকেই হত্যা করেনি, সে কুলসুম নামে এক মেয়েকে ধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সে ডাকাতি মামালায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এত অপরাধ করেও তার বিচার হচ্ছে না। কেবল কালো টাকার জোর আর ক্ষমতা খাটিয়ে সে বার বার বেঁচে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই আওয়ামী লীগের দুর্দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিলেন। পরিতাপের বিষয় হলো চাঞ্চল্যকর এই হত্যার বিচার আমরা ২১ বছরেও পাইনি।’
সঞ্জিত সাহা/এমআরআর/এমএস