সিরাজগঞ্জ
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী কমেছে ৫৭ শতাংশ

সিরাজগঞ্জে শেয়ার কেনা-বেচার একমাত্র ব্রোকারেজ হাউজ প্রাইলিংক সিকিউরিটি লিমিটেড। বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে মন্দা থাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় বিনিয়োগকারী হারাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজটি। ইতোমধ্যে এই শাখা অফিসটির বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৫৭ শতাংশ কমে গেছে।
সম্প্রতি শহরের এসএস রোডের প্রাইলিংক সিকিউরিটি লিমিটেডে গিয়ে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। গুটি কয়েক বিনিয়োগকারী মনিটরে তাকিয়ে শেয়ারের দামের চিত্র দেখছেন। তাদের মুখে হাসি নেই। বরং কপালে চিন্তার ভাজ।
এর কারণ বোঝা গেলে কিছু সময় মনিটরের দিকে তাকিয়ে। ক্রেতা সংকটে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসছে। ফলে দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এতে তাদের মুখের হাসি যেমন নেই হয়ে গেছে, তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। কবে বাজারের এই দশা থেকে মুক্তি পাবেন, ব্রোকারেজ হাউজে বসে লেনদেনের বদলে সেই আলোচনা করছেন তারা। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান মিলছে না। কেউ তাদেরকে মুক্তির দিশা দেখাতে পারছেন না। বরং দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারের অবস্থা ততো করুণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা, ব্রোকারদের বিস্ময়
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিনিয়োগকারী জাগো নিউজকে বলেন, শেয়ারবাজারের অবস্থা কয়েক বছর ধরেই ভালো নয়। তবুও এ ব্যবসার মায়া ছাড়তে না পেরে ধরে আছি। তবে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তেমন লাভ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্রাঞ্চে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার বিনিয়োগকারী ছিল। বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজারে। অনেক বিনিয়োগকারীই শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে শেয়ারবাজারে বেড়েছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা গেছে, তারা এখনই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মনে করছে, এ মুহূর্তে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সে কারণে বাজারের স্বাস্থ্য ভালো না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস তোলা হবে না।
এসএইচএস/এমএস