আমড়া গাছে ঝুলছিল কিশোরের বিবস্ত্র মরদেহ
কিশোরগঞ্জে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রাকিবুল ইসলাম রাকিব (১৬) নামে এক কিশোরের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের দামপাড়া থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাকিব কড়িয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। সে দামপাড়া এলাকায় মো. আবদুল্লাহর একটি মুরগির খামারে কাজ করতো।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাকিবের চাচাতো নূর মোহাম্মদ জানান, আট মাস আগে থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা বেতনে দামপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহর খামারে কাজ শুরু করে রাকিব। এরপর থেকে সেখানেই থাকতো। খামারে কাজ শুরুর একমাস পর থেকে মালিকের বড়ভাই তাজুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে রাকিবের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে খামারের মালিক আবদুল্লাহ এবং তার বড়ভাই তাজুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সমস্যা চলে আসছে।
নূর আরও বলেন, ওই মেয়ের বিষয়ে রাকিবের মাকে জানিয়েছিলেন খামারের মালিক আবদুল্লাহ। পরে পরিবারের লোকজন রাকিবকে শাসন করেন। এরপর থেকে খামারেই কাজ করছিল রাকিব। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে আবদুল্লাহ রাকিবের বাড়িতে গিয়ে জানান তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আবদুল্লাহর সঙ্গেই রওনা হন তারা। খামারে গিয়ে দেখেন দেড়শ গজ সামনে একটি আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ ঝুলছে। পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নূরের দাবি দাবি, রাতের কোনো এক সময় রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই গাছে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
রাকিবের প্রতিবেশী দাদা মো. ইসরাফিল বলেন, খবর শুনে আমরা গিয়ে দেখি খামারের পাশেই একটি আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ ঝুলে আছে। এ সময় দেখি রাকিবের শরীরে বিভিন্ন অংশে কাদা লেগে আছে। তার পরনের প্যান্টও খোলা। যে অবস্থায় তাকে দেখলাম তাতে বিষয়টিকে আত্মহত্যা মনে করা যায় না।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজে/জেআইএম