‘বাদল স্যার না থাকলে আমরাও স্কুলে যাবো না’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১০ মে ২০২৩

বাদল স্যার খুব ভালো। স্কুলে না গেলে বাড়িতে এসে তিনি আমাদের নিয়ে যান। আমাদের অনেক আদর করেন। সেই বাদল স্যারই যদি স্কুল থেকে চলে যায় তাইলে আমরা আর স্কুলে যাবো না। কথাগুলো বলছিল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মধ্য রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমা।

মঙ্গলবার (৯ মে) ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলম বাদলের নামে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে আসা একাধিক অভিভাবক জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা মধ্য রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলম বাদল নিয়মিত স্কুলে আসে না এবং যথা সময়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে না। এছাড়াও স্কুলের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এলাকায় ছড়িয়ে দেয় একটি কুচক্রী মহল। তার প্রতিবাদে স্কুলের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জয়কা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাদিস মিয়া জানান, সফিকুল আলম বাদলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে আমি গ্রামবাসীর পক্ষে এসব মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। তার পরিচালনায় স্কুলের শিক্ষার মান এবং পরিবেশে যখন আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে, ঠিক সে মুহূর্তে তথাকথিত জ্ঞান পাপীদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

jagonews24

তিনি আরও জানান, সরকারি বরাদ্দের অর্থ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও সামাজিক মূল্যায়ন কমিটির সবাইকে নিয়ে করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ তদন্ত করে, দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা অফিসের অফিসার স্কুলের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর দিয়ে কাজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। যা স্কুলে সংরক্ষিত রয়েছে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা মরিয়ম বেগম জানান, বাদল মাস্টার আমাদের বাচ্চাদের সুন্দর করে পড়িয়ে যাচ্ছেন। আমাদের বাচ্চারা কোনোদিন স্কুলে না গেলে বাড়িতে আসে বা ফোন দিয়ে আমাদের জানিয়ে দেন। যিনি বাদল মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলা করেছেন তার বাড়িতে একটি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল খুলেছেন। ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেওয়ার জন্য কাজটি করছেন তিনি।

সাইদুল হক ধনু নামের এক অভিভাবক জানান, স্কুলের আশপাশেই আমরা কাজকর্ম করি। বাদল মাস্টার সঠিক সময়ই স্কুলে আসেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

এসকে রাসেল/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।