শরীয়তপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, আতঙ্কে স্থানীয়রা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ১৫ জুলাই ২০২৩

শরীয়তপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে ২০-২৫ জনের, হাসপাতালে একদিনে ভর্তি হচ্ছেন ৯-১০ জনেরও বেশি। এতে করে আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন । আর জেলায় এখন মোট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩৮ জন।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন বয়সী রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রোগী সদর পৌরসভার বাসিন্দা। এজন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। তবে আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশ রোগী ঢাকা থেকে আসা।

আরও পড়ুন: ইউপি সদস্যের খাটের নিচে মিললো ককটেল-রামদা

jagonews24

এদিকে এডিস মশার আতঙ্কে পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার পাশাপাশি খানাখন্দ ও ডোবায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী। একই সঙ্গে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর এখন পর্যন্ত শরীয়তপুর সদরসহ ছয়টি উপজেলায় ৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ জন। এছাড়া বর্তমানে ভর্তি আছেন ৩৮ জন।

শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় নিয়মিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করার নিয়ম প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মশা নিধনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। সবাই মিলে এডিস মশা নিধনের জন্য নিয়ম মেনে চললে শহরে ডেঙ্গু রোগ কমবে বলে আমি মনে করি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. হাসান ইবনে আমিন বলেন, আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই ঢাকায় চাকরি করেন। আবার অনেকেই বেড়াতে বা কোনো কাজে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ঈদের পর হাসপাতালটিতে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকেই বাড়ি থেকে ওষুধ সেবন করছেন। তাদের বিশেষ করে বাসাবাড়িতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পদ্মায় নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পর মিললো যুবকের মরদেহ

শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান বলেন, ঈদের পর থেকেই জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা ছয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমবেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। তবে সদর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেড়েছে। তাই বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে সেদিনে সবার খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে এ রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব।

জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।