কটিয়াদীতে প্রথম ‘সেলুন লাইব্রেরি’র যাত্রা শুরু
কিশোরগঞ্জে সেলুনে লাইব্রেরি স্থাপন করলেন ফজলে রাব্বী (১৯) নামে তরুণ। জেলার কটিয়াদী উপজেলা মসূয়া বাজারের ভাই ভাই হেয়ার কাটিং সেলুনে এ লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
ফজলে রাব্বী একই এলাকার অধ্যাপক মাওলানা এখলাস উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটির অধীনে ঢাকার তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় অনার্সে অধ্যয়নরত।
এ বিষয়ে ফজলে রাব্বী জানান, বই জ্ঞান-মননের পরিধি বাড়ায়। তাই আমি সেলুনে চুল কাটতে আসা মানুষের অবসরের সময়টুকু কাজে লাগাতে এ ‘সেলুন লাইব্রেরি’ স্থাপন করেছি। আপাতত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, সুকুমার রায়ের তিনটি বিখ্যাত বইসহ ১০টি বই দিয়ে এ লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এ বইয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
সেলুনের মালিক বিশাল রবিদাস জানান, প্রতিদিন আনুমানিক ৫০ জন মানুষ চুল কাটতে আমাদের সেলুনে আসেন। চুল কাটতে আসা মানুষকে অনেক সময় সিরিয়ালে বসে থাকে হয়। এখন থেকে তারা বই পড়ে সময় কাটাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ১০০ সেলুন লাইব্রেরি
রাফিউল ইসলাম নামের এক যুবক জানান, ফজলে রাব্বী সেলুনে লাইব্রেরি স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা অত্যন্ত চমৎকার। এখান সেলুনে বই পড়ে সময় কাটাতে পারবো। আমাদের সময় অপচয় হবে না।
আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চুল কাটতে এসে মানুষ অবসর সময়ে এ লাইব্রেরি থেকে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। সেলুনে চুল কাটতে আসা উঠতি বয়সী ছেলেরা বই পড়ার মধ্যমে সমাজের অন্যায়-অনাচার, মাদক ও জুয়ার মতো ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে জেলা গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান আজিজুল হক সুনম জানান, জেলায় প্রথম কোনো ‘সেলুন লাইব্রেরি’ স্থাপন হয়েছে। যা ঐতিহাসিক মসূয়া বাজার থেকে তরুণ ফজলে রাব্বীর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা ফজলে রাব্বীর পাশে আছি।
এসকে রাসেল/আরএইচ/এএসএম