সুনামগঞ্জে বর্তমান আট চেয়ারম্যানের সাতজনই নৌকা বঞ্চিত


প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৬

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বতর্মান চেয়ারম্যানদের সাতজনই দলীয় মনোনয়ন পাননি। আসন্ন ভোটযুদ্ধে প্রার্থীরা শক্তিশালী বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

যারা আওয়ামী লীগের মনোন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন, এদের বেশির ভাগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা ও পরিবারের একাধিক সদস্য জামায়াত-বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তারা বাদ পড়েছেন।

গত ১২ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে জামায়াত-বিএনপির সহচর উল্লেখ করে তাকে নৌকা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।  

আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। এভাবে অন্যান্য চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছিলো বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান চেয়ারম্যানদের বেশিরভাগের স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী অবস্থান রয়েছেন। ফলে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে নৌকার ভোটে ভাগ বসাবেন। এদিকে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পর বঞ্চিত অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

নৌকা বঞ্চিত আটজনের ছয়জন স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের কাছের মানুষ হওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তারা এমপির আনুকূল্য পাবেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

বঞ্চিতদের কেউ কেউ জানান, জনপ্রিয়তা থাকার পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তদবির না করায় তারা দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দলের স্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মতিউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আর এ নিয়ে কারোর অভিযোগ থাকলে দলীয় দায়িত্বশীলদের কাছে জানাতে বলা হযেছে।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।