ভুয়া সুইসাইড নোট লিখে পোস্ট, সতর্ক করলো পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভুয়া সুইসাইড নোট লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আটক হয়েছেন ফেরদৌস নাঈম নামের এক যুবক। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজবাড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানিপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সতর্ক করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেরদৌস নাঈম ভবানিপুরের মৃত গোলাম ফয়েজের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সুইসাইড নোটের পোস্টটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশের একটি মোবাইল টিম ওই যুবকের লোকেশন শনাক্ত করে সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি পরিবারের সঙ্গে গল্প করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মিথ্যা সুইসাইড নোট লিখে তিনি পোস্ট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সুমাইয়ার সুইসাইড নোট পড়ে হতবাক বাবা-মা

সুইসাইড নোটে তিনি লিখেন, বরাবর, সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি। আমি ফেরদৌস নাঈম, এনআইডি নং ৮৭১২৬১...., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নং ২০১৯০১....। সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কের ঝামেলা/সংকট মোকাবিলায় আপনারা স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ আমার ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য আপনদের অপমানিত/লজ্জিত হতে হয়েছে।

আমার বিধবা মাকে সেই মেয়ে অশ্লিল ভাষায় গালি দিয়েছেন। আম্মুর সম্মানহানি হয় এমন কথা বলেছেন তিনি। সেই মেয়ের বিচার আপনারা না করলেও আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু মৃত বেলাল ফয়েজর সন্তান হিসেবে এ বিচার আমি করব। আমার মৃত্যু হলে কবরটা যেন আমার বাবার কবরেই হয়। এটা শেষ অনুরোধ...।

নোটের অপর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ইতি ফেরদৌস নাঈম। সেখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লেখা ছিল এক সেট ব্লেড (জিলেক্ট) যেটা দিয়ে সবেমাত্র দুই হাত কাটছি। সেটা জমা দিয়ে গেলাম। আরেক সেট ব্লেড আমার বাসায় লুকানো আছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রেজাউল করিম জানান, জিঞ্জাসাবাদে ওই যুবক জানান. গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। তার মাকে ওই মেয়ে গালি দিয়েছেন। মূলত ওই মেয়েকে চাপে ফেলতে এ নাটক সাজিয়েছেন তিনি। পরে সতর্ক করে তাকে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

রুবেলুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।