যে কোনো সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে দিনাজপুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যে কোনো সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে দিনাজপুর।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবার ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ।

jagonews24

এর আগে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং রোববার সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, যে কোনো সময় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এতে তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে। উত্তর, উত্তর পঞ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় এর প্রভাব পড়বে। থাকবে কুয়াশারও প্রভাব। এ মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বইবে এ এলাকায়।

jagonews24

দিনাজপুর সদর উপজেলার বোলতৈড় এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, শীত কৃষির জন্য খুব একটা সুখবর নিয়ে আসে না। এ এলাকায় আলু ও টমেটোর আবাদ হয়। ফসলগুলোতে কুয়াশার প্রভাব পড়লে লেটবাইটসহ নানান রোগের আক্রমণ হয়। শীতের কারণে আবার এ সময়টাতে কৃষিশ্রমিকও পাওয়া যায় না। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে।

সদর উপজেলার ভবাইনগর কাটাপাড়া এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শীতে ঠিকভাবে কাজ করা যায় না। ফসল উৎপাদনেও বেশ ঝুঁকি পোহাতে হয়। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

উলিপুর এলাকার কৃষক সায়েদ আলী বলেন, এ এলাকায় আলুর ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। শীতের কারণে আলু নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে গত দুদিন ধরে সকাল সকাল রোদ উঠছে। তাই কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।

এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।