শরীয়তপুরে নৌকা ও ঈগলের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের খালেদ শওকত আলীর আলাদা আলাদা দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুপক্ষই এক অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে দুর্বৃত্তরা অস্থায়ী ওই ক্যাম্প দুটিতে আগুন দেয়। এতে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের আহম্মদনগর নৌকা প্রতীকের একটি ক্যাম্প পুড়ে যায়। অন্যদিকে বিঝাড়ি ইউনিয়নের ধামারণ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের একটি ক্যাম্প পুড়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খালেদ শওকত আলী। এছাড়া আসনটিতে আরও আটজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ১২টি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনায় নড়িয়া থানায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ছয়টি।

নড়িয়া থানা সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া-ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন সড়কের আহম্মদনগর এলাকায় সড়কের পাশে কাপড় দিয়ে একটি নৌকা প্রতীকের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার ভোরের দিকে ক্যাম্পটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময় বিঝারি ইউনিয়নের ধামারণ ত্রিপল্লী এলাকায় ঈগল প্রতীকের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পটির ব্যানার ও কিছু অংশ পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা, বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন। তাদের পায়ের নিচে মাটি না থাকায় তারা এ ধরনের নোংরা কাজগুলো করছেন। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক শামীমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা এরআগেও আমাদের নৌকার ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে। তারা এবার নিজেদের দায় এড়াতে তাদের অফিসসহ আমাদের অফিসও জ্বালিয়ে দেয়। আমরা এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।