শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৮:৩১ এএম, ০২ মার্চ ২০২৪

অডিও শুনুন

শরীয়তপুরের জাজিরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মন্টু বেপারী (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের সাকিমালী মাদবর কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মন্টু বেপারী সেনেরচর ইউনিয়নের ভোলাই মুন্সী কান্দি এলাকার আরশেদ আলী বেপারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মন্টু বেপারীর সঙ্গে সাকিমালী মাদবর কান্দি এলাকার এমদাদ মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। তিন বছর আগেও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মন্টু বেপারী ও তার ভাইপো বাবু বেপারী মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তারা সাকিমালী মাদবর কান্দি এলাকায় আসলে প্রতিপক্ষ এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে মন্টু বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাবু বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিহতের ভাগিনা ফারুক সরদার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন আমার মামাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যারা আমার মামাকে হত্যা করেছে আমি তাদের সবার ফাঁসি চাই।

মন্টু বেপারীর চাচাতো ভাই মামুন বেপারী বলেন, এমদাদ মাদবর ও দেলোয়ার মাদবরের লোকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তারা আগে থেকেই হত্যার প্লান করে রেখেছিল। আমার ভাই বাসায় ফেরার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। আমার এক ভাতিজার হাতের কয়েকটি আঙুল পড়ে গেছে, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে মন্টু বেপারী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিধান মজুমদার অনি/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।