দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। বাতাসে বইছে হল্কা। টানা সপ্তাহজুড়ে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী। খাঁ খাঁ রোদে ঈশ্বরদী শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, ১৫ এপ্রিল বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঈশ্বরদীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

বৃষ্টিহীন বৈশাখের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৫) এপ্রিল সকাল থেকে রোদের তীব্রতা বাড়তে থাকে। দুপুরের আগে শহরের পিচঢালা সড়কগুলো থেকে উষ্ণ হয়ে উঠে। ফলে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোবাইক চালকদের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন স্টেশন ঘুরে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র রোদে পুরো জংসন এলাকার বাতাস গরম হয়ে উঠেছে। ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা গরমে হাফিয়ে উঠেছে।
ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনে অপেক্ষামান যাত্রী আসাদুর রহমান বলেন, বাতাসেও আগুন ঝরছে। শরীর পুড়ে যাচ্ছে। এতো গরম সহ্য করা কঠিন।

দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

আরেক যাত্রী আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশের এতো জায়গায় গেছি এত গরম কখনো অনুভব করিনি। সারা শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। ফ্যানের বাতাসও প্রচন্ড গরম। ট্রেনে উঠতে পারলে বাঁচা যেতো।

শহরের স্টেশন রোডের ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক আগুনের মতো গরম হয়ে গেছে। প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষজন এখন চা খুব একটা খাচ্ছে না। তাই বেচাকেনা নেই।

দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

রিকশা চালক আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদ শেষে এখন মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। তাই সড়কে এখন লোকজনের সমাগম বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সড়কে তুলনামূলক লোকজন নেই। স্থানীয় লোকজনকে খুব বেশি যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে না। তপ্ত রোদের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, সপ্তাহজুড়ে ঈশ্বরদীতে তাপপ্রবাহ বিরাজমান রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠানামা করছে।

শেখ মহসীন/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।