ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচদিন ধরে ঈশ্বরদীতে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি, ১৫ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি

টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। রিকশা ও অটোচালকদের সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ইয়ার্ডে কর্তব্যরত আনসার সদস্য ওয়াসিম বলেন, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছি। গরমে ডিউটি করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

শহরের স্টেশন রোডের পথচারী খায়রুল ইসলাম কিরণ বলেন, জোহরের নামাজ পড়তে মসজিদের যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। পথে রোদের তীব্রতা দেখে বাড়ি ফিরে গিয়ে আবার ছাতা নিয়ে এসেছি। সড়ক দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে।

ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি

পৌর শহরের স্টেশন রোডে রিকশাচালক জহির উদ্দিন বলেন, তীব্র রোদে খুব গরম লাগছে। রাস্তায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে।

ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির শ্রমিক আজাহার আলী বলেন, গরমে জীবনই চলে না। কাজ করা মুশকিল। তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হয়েছি।

ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, সপ্তাহজুড়ে ঈশ্বরদীতে তাপপ্রবাহ বিরাজমান। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

শেখ মহসীন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।