কুমারখালীতে নির্বাচনী সহিংসতা: আহত মৎস্যজীবী লীগ নেতার মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২৬ মে ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় তরিকুল ইসলাম তারিক (৩৫) নামে গুরুতর আহত এক যুবক মারা গেছেন।

রোববার (২৬ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের ভাই তার মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ভোট গণনার সময় চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি আহত হন।

নিহত তারিক একই ইউনিয়নের জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি বিজয়ী চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের আনারস প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিহতের বড় ভাই তরিকুল ইসলাম টরিক বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখ করে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকাল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। ভোট গণনার সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপির ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোরশেদ পিটারের সমর্থক আনিসুর রহমান লালের নেতৃত্বে মধু সাদ্দামসহ ১৫-২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান খানের সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।

এতে তারিকুল ইসলাম তারিক, তার বড় ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক, রাশেদ ও নাজিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারিককে ঢাকায় পাঠান।

নিহতের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মদদদাতা আছে। তাকে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী লালসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

কুমারখালী উপজেলা পরিষদের বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান বলেন, নিহত তারিক আমার কর্মী সমর্থক। হামলাকারীরা মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় কয়েকবার চেষ্টা করেও চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোরশেদ পিটারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আহত যুবকের মারা যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ২৩ মে নিহতের ভাই থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে মামলার আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

আল-মামুন সাগর/এনআইবি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।