যুবককে তুলে নেওয়ার তিনদিন পর নিশ্চিত করলো পুলিশ
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় প্রশাসনের লোক পরিচয়ে সাগর আলী (২৫) নামে তুলে নেওয়া যুবককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়েছে। গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার পুলিশের একটি ইউনিটের হেফাজতে ছিলেন তিনি। সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যার পর পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রির পর থেকে সাগরের সন্ধানে আমরা কাজ শুরু করি। বড় ধরনের একটি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের একটি ইউনিট তাকে ধরে নিয়ে গেছে। সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সাগরকে একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালতে তোলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক সাগরের বাবা মহসীন আলীকে ডেকে সাগরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাকে জানানো হয়, সাগর বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে নিরাপদে রয়েছেন। তবে কী কারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের তা জানায়নি পুলিশ।
সাগরের ছোট বোন মৌসুমী আক্তার বলেন, সোমবার বিকেলে তেতুঁলিয়া থানা পুলিশ আমার বাবাকে ডেকে নিয়ে জানিয়েছে ভাইয়া নাকি তাদের কাছে আছে। আমরা যেন কোনো টেনশন না করি। তবে আমার ভায়ের কী অপরাধ এসব কিছু আমাদের জানায়নি।
গত শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার শ্যামলী কাউন্টার থেকে সাগরকে ডেকে সাদা একটি মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল। এসময় সাগরকে জানানো হয় কিছু তথ্য জিজ্ঞাসা করে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। এক পর্যায়ে সাগরকে সাদা ওই মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে সাগরের বাবা তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নিখোঁজ) করেন। তবে সোমবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজির পরও সাগরের কোনো খোঁজ না মেলায় দুশ্চিন্তায় থাকে পরিবারের সদস্যরা।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, সাগরের নিখোঁজের সাধারণ ডায়রির পর আমরা কাজ শুরু করি। এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। তিনি বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জেনেছি। তাকে ঢাকায় আদালতে সোপর্দও করা হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শ্যামলী পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে বুকিং সহকারী সাগর হোসেন উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজার এলাকার মহসিন আলীর ছেলে।
সফিকুল আলম/এফএ/জিকেএস