সরকারি গাছ কাটলেন ইউপি চেয়ারম্যান


প্রকাশিত: ০৬:০৬ এএম, ০৭ মে ২০১৬

বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোট ইউপির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছপালা কাটার পাশাপাশি ভাল ভাল গাছও গাছও কেটেছেন বলে জানা গেছে। তবে চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত না এমন গাছ কাটার কথা অস্বীকার করেছেন।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভান্ডাকোট ইউপির কুলটিয়া ও জয়পুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছপালা যাতে জনসাধারণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানসহ সচিবদের ওই সকল গাছপালা দ্রুত সরিয়ে ফেলার কথা বলেন। যারই সূত্র ধরে উপজেলার ভান্ডাকোট ইউপির চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত গাছপালা কাটার পাশাপাশি নিজের পছন্দ মতো রাস্তার পাশের প্রায় চল্লিশটির বেশি মেহগুনি, বাবলা, শিশু ও শিরিশ গাছ কেটেছেন।

এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ঠ চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাবু মোল্লা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ১২/১৪টি গাছ কাটা হয়েছে। আমি উপজেলা পরিষদের ইউএনও’র নির্দেশনা ও রেজুলেশনের ভিত্তিতে জনসাধারণের ক্ষতি হয় এমন গাছগুলো কেটে ফেলতে বলেছি।

এ বিষয়ে বন বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা লিয়াকত বলেন, যে সব গাছ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই কাটতে বলা হয়েছে। তবে ওই এলাকাটি সড়ক ও জনপদের আওতাধীন।

উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মু. বিল্লাল হোসেন খান বলেন, সম্প্রতি ঝড়ে যে সকল এলাকায় গাছপালা ভেঙে জনসাধারণের ক্ষতি করছে সে সব গাছপালা দ্রুত কেটে ফেলতে হবে ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ঠ এলাকার মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে। যদি তার বাইরে ইউপি চেয়ারম্যান কিছু করে থাকে তবে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে সড়ক ও জনপদের আওতাধীন ওই গাছগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত গাছের বাইরে যদি তিনি গাছ কেটে থাকেন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।