জয়পুরহাট সীমান্ত
এখনো কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করেনি বিএসএফ

পতাকা বৈঠকে আশ্বাসের পরও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে তিনদিনে কাঁটাতারের বেড়া ও খুঁটি অপসারণ করেনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজিবির হাটখোলা বিওপি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোরে কুয়াশার মধ্যে পূর্ব উঁচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে মাত্র ২০ গজ ভারতে অভ্যন্তরে বাঁশের খুঁটি পোতা ও সিঙ্গেল কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ করছিল বিএসএফ)। ওইদিন সকালে সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের ঘোনাপাড়া সীমান্তের বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি পোতা ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ করা দেখতে পান।
বিষয়টি হাটখোলা বিওপি কমান্ডারকে জানা জানালে বিজিবি সদস্যরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বাঁধা দেন। বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ করে চলে যান। বিজিবি তাদের পতাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালেও প্রথমে বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
এরপর বিজিবি পত্র দিয়ে বিকেল ৩টায় পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায়। বিএসএফের ১২৩ ব্যাটেলিয়নের অধীন চকগোপাল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পতাকা বৈঠকে সাড়া দেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ২৮১ নম্বর মূল পিলারের শূন্য রেখায় দুই দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকের পর হাটখোলা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শাহ জাহান বলেছিলেন, অন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে মাত্র ২০ গজের মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছিল। বিএসএফ কিছু স্থানে বাঁশের খুঁটিও পুঁতে ছিল। আমরা তাতে বাঁধা দিয়েছিলাম। এরপর বিএসএফ আর কাজ করেননি। ওইদিন বিকেলে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি অপসারণ করে নেবে বলে বিজিবিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন
ঘোনাপাড়া সীমান্তের কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ২০ গজের মধ্যে প্রায় ২৫ গজের মতো কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছিল বিএসএফ। বুধবার তারা ২৮১ নম্বর মূল পিলারের ৩৩-৩৪ ও ৩৫ নম্বর সাব পিলারের কাছাকাছি গিয়েছিল। এখনো কাঁটাতারের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি পোতা রয়েছে। তবে দিনের বেলায় বিএসএফ সদস্যদের নতুন করে কাজ করতে দেখা যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে হাটখোলা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শাহ জাহান জাগো নিউজকে বলেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি অপসারণ করেনি। তবে বিএসএফ আর নতুন করে কোন কাজও করেনি। সীমান্ত পরিস্থিতি এখন ভালো রয়েছে।
এদিকে বুধবার ২০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সীমান্তের অবস্থা এখন স্বাভাবিক।
আল মামুন/আরএইচ/জিকেএস