ই-কমার্সকে দারিদ্র্য বিমোচনের কম্পোনেন্ট করতে চাই: ফয়েজ আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০১ এএম, ১৬ মে ২০২৫
ছবি- সংগৃহীত

ই-কমার্স খাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ হিসেবে দাঁড় করানোর পাশাপাশি গ্রাম থেকে বানানো পণ্য ঢাকায় ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, ভ্যালুচেইন অ্যাড করে আপনারা দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। আমরা এই রিভার্স চ্যানেলটা গ্রাম থেকে শহরে, অথবা বিদেশে ছড়িয়ে দিয়ে অ্যাক্সেস টু কাস্টমার নিশ্চিত করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকায় আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে ডাক অধিদপ্তর, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এবং ই-কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শুরুতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বিগত সরকারের আমলে ই-কমার্স খাতে যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তাতে মানুষ এ সেক্টরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের সে আস্থা পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ই-কমার্সের বিস্তৃত ঘটাতে ডাক বিভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করে যেন লাভবান হতে পারে সবাইকে সে চেষ্টা করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত উদ্যোক্তারা পোস্ট অফিসে ওয়াইফাই সার্ভিস চালু, পোস্ট অফিসের ওয়্যার হাউজ ব্যবহার, অব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ায় পরিচালনা করা, বিধিমালায় ক্ষতিপূরণ প্রদানের যেই শর্ত রয়েছে তা শিথিল করা, লাইসেন্সের স্তর কমিয়ে আনা, লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো যেন ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে, পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে ডাক সেবার সময় বৃদ্ধি করা এবং আসন্ন ঈদুল আজহার বন্ধের সময় যেন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি চলতে পারে সেই ব্যাপারে বিশেষ সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বিধিমালায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত যে শর্ত রয়েছে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণার পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে রেটিং প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। তিনি ই-কমার্স ব্যবসাকে শহর থেকে গ্রামে না গিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে ‌‘রিভার্স ই-কমার্স’ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, নীতি পরিবর্তনের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। তিনি ডাকের অব্যবহৃত গাড়ির ইনভেন্টরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় ডাকবাহ পরিচালক জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে ডাকের জিপিএস ট্রাকিং সিস্টেম সম্পূর্ণ কার্যকর হবে পাশাপাশি এপিআই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, ই-কমার্সের প্রতিনিধি এবং ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।