ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে বন্ড সুবিধা পাবেন আংশিক রপ্তানিকারকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে আংশিক রপ্তানিকারকদের ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে সাময়িক শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে বন্ড সেবার পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন কার্যক্রমও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনবিআর ও বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাসমূহের দ্বিতীয় মাসিক সমন্বয় সভায় এ অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং অংশ নেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি, মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:

সভা সূত্র ও বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানায়, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে আংশিক রপ্তানিমুখী শিল্পকে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর শুল্ক ও করের সমপরিমাণ অর্থের শতভাগ ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে বন্ড সুবিধা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বন্ড সেবার সম্পূর্ণ অটোমেশন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে ম্যানুয়াল সেবা বন্ধ করা হবে।

সভায় জানানো হয়, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ ও অর্থনৈতিক এলাকায় স্থাপিত ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রায় খোলা অভ্যন্তরীণ ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য/সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে। ইউটিলাইজেশন ডিক্লেয়ারেশন (ইউডি) শর্তসাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। বন্ড লাইসেন্স বা ইউডিতে ঘোষিত এইচএস কোড এবং কাস্টমস পরীক্ষায় নির্ধারিত এইচএস কোডের মধ্যে অমিল থাকলেও, প্রথম চার অঙ্ক মিলে গেলে চালান খালাস দেওয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের মধ্যে বন্ড লাইসেন্সে কোড ও বর্ণনা সংশোধন করতে হবে। এছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে আরও ৩১টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক চাহিদার ভিত্তিতে আংশিক রপ্তানিকারকদের বন্ড সুবিধাসহ নীতি সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি আমরা। সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এটি কার্যকর হলে দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূল্যে রপ্তানি করতে পারবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, যৌক্তিক ও বিনিয়োগবান্ধব সুবিধা দিতে এনবিআর বদ্ধপরিকর। দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সেলফ এসেসমেন্ট ও পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আমি নিজেই সংস্কার বাস্তবায়নে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবো।

এসএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।