বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তন সহজ করতে সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বা বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তন (রিপ্যাট্রিয়েশন) প্রক্রিয়া সহজ করতে বেসরকারি ও সরকারি লিমিটেডে বিক্রয়লব্ধ অর্থের প্রত্যাবাসন বিষয়ক জাতীয় কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। দেশের বিদ্যমান রিপ্যাট্রিয়েশন কাঠামোকে আরও আধুনিক, গতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করার লক্ষ্যে এ সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

জানা গেছে- বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইউএনডিপি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি বিগত কয়েক মাস ধরে একাধিক কারিগরি বৈঠক করে। বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নকারী সংস্থা, মার্চেন্ট ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও আইনজীবীদের মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করেছে।

১৮ নভেম্বর বিডা’র নির্বাহী সদস্য ও জাতীয় কমিটির প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি এ সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেন। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিডা চেয়ারম্যানের নির্দেশে কমিটিটি গঠিত হয়।

সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে-রিপ্যাট্রিয়েশন অনুমোদনসীমা বৃদ্ধি; যাতে অধিকাংশ কেস বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়াই প্রক্রিয়া করতে পারে। পরিষেবা স্তর চুক্তি প্রবর্তন; যা সময়সীমাবদ্ধ প্রত্যাবর্তন সেবা নিশ্চিত করবে। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ক্ষেত্রে নথি কমানো ও আন্তর্জাতিক মানের মূল্যায়ন নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা হালনাগাদ। জটিল বা বিতর্কিত কেসের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রত্যাবাসন পর্যালোচনা কমিটি গঠন, যা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। স্টার্টআপ ও দ্রুত সম্প্রসারণশীল ব্যবসার জন্য পৃথক নীতিমালা ও মূল্যায়ন কাঠামো প্রণয়ন, যা ২০২৬ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে কার্যকর হবে। ন্যাশনাল ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন; যার মাধ্যমে মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও সার্টিফিকেশন দেওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ও জনবল বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আধুনিক ও বিনিয়োগবান্ধব আর্থিক পরিবেশ গড়ায় আমাদের অঙ্গীকার এ সুপারিশে প্রতিফলিত হয়েছে। বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে আরও নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছি।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় এটি একটি বড় পদক্ষেপ। নতুন কাঠামো বাংলাদেশের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে। জাতীয় কমিটি স্বল্প সময়ে যে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্যাকেজ উপস্থাপন করেছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

এসএম/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।