দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি: এমসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৫) প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দুর্বল থাকলেও পুনরুদ্ধারের কিছু প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। রপ্তানি-আমদানি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক তাদের পর্যালোচনায় এ মন্তব্য করেছে।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম দুর্বল রয়ে গেছে, যার ফলে চাহিদা হ্রাস এবং বিনিয়োগ কমেছে। তবু, পর্যালোচনাধীন ত্রৈমাসিকে বেশ কয়েকটি খাত বছরের পর বছর উন্নতি রেকর্ড করেছে, যা মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমা এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির ফলে সম্ভব হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যদিও প্রবৃদ্ধি এখনও ম্লান, বর্তমান পর্যালোচনা সময়কাল (প্রথম প্রান্তিক) কিছু পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রপ্তানি, আমদানি, মুদ্রাস্ফীতি এবং রেমিট্যান্সের উন্নতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিকে স্বস্তি ফেরাতে সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়া আর্থিক ও মুদ্রানীতি, যা গত বছরের আগস্ট থেকে কার্যকর রয়েছে, দেশীয় চাহিদাকে আরও দুর্বল করেছে। সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে—যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন—এবং এটি দুর্বল বিনিয়োগ আগ্রহ ও ব্যবসায়িক আস্থার হ্রাসকে তুলে ধরে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক তথ্য দেখায় যে গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে কমে চতুর্থ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

আইএইচও/এমএমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।