বিনিয়োগ ও রাজস্ব আহরণে অগ্রাধিকার দিন


প্রকাশিত: ০৭:১১ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

প্রস্তাবিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতে অবকাঠামো, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে তারা এও বলছেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোড়দার করতে হবে। আমাদের দেশে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করা গেলো প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে যাবে।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তারা এসব মত দেন। রাজধানীর এনইসি মিলনায়তনে এর আয়োজন করে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব ভুইয়া শফিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ-উদ-জামান, মমতাজ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, নাজমা বেগমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা মতামত তুলে ধরেন। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা খসড়া তৈরির প্রাক্কালে নিয়মিত পরামর্শ সভার অংশ হিসেবে কমিশন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আ.হ.ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার তার রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এখানে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কোন খাত গুরুত্ব পাবে সেটি জানা জরুরি।

এসময় তিনি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, শিক্ষাখাততে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে শিক্ষার হার বাড়লেও মান বাড়ছে না। তার মতে, বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাবে।

ফরিদ-উদ-জামান বলেন, শুধু পরিকল্পনা হাতে নিলেই হবে না। তার বাস্তবায়নে আমাদের বাজস্ব আহরণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকারের মেয়াদে বাজেটে বড় পরিবর্তন এসেছে। আগামী ৫ বছরে এটি আরো বাড়বে। তাই রাজস্ব আহরণে সক্ষমতা এখনই বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, করদাতাবান্ধব নীতি জরুরি। জোড় করে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যাবে না। এসময় তিনি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা কর আরোপের সুপারিশ করেন। এছাড়া বিনিয়োগ ও অবকাঠামো দেশের উন্নয়নের অন্যতম শর্ত বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

মমতাজ উদ্দিন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অবকাঠামো গুরুত্ব পেলেও খুব উন্নয়ন হয়নি। একই সঙ্গে ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে একমত হয়ে বলছি, রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। নতুন রাজস্ব ক্ষেত্রে খুজে বের করতে হবে।

নাজমা বেগম বলেন, শুধু বিনিয়োগ নয়, অবকাঠামো নয়। আমাদের দেশে বড় সমস্যা সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়ন আরো বাড়বে। প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।

এ সময় অর্থনীতিবিদরা বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকারে নিয়ে আসতে হবে। গ্যাস বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সেটিও ভাবতে হবে।

 -এসএ/বিএ/এআরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।