৫ লাখের বেশি রেমিট্যান্সের নগদ সহায়তা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিদেশ থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে এর ২ শতাংশ প্রণোদনা পেতে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কাগজ জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোর গাফিলতির কারণে এ কাগজপত্র নিষ্পত্তিতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। তাই এসব কাগজপত্র দ্রুত পাঠানো ও নিষ্পত্তির তাগিদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন’ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি হরা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার অথবা ৫ পাঁচ লাখের বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রাপক (বেনিফিশিয়ারি) কর্তৃক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কাগজপত্রাদি দাখিল করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে সময়সীমা দুই মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাপকের কাগজপত্রাদি দাখিল করার বিষয়ে সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক বরাবর কাগজপত্রাদিসহ নগদ সহায়তার দাবি পেশের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করা হয়নি।

তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রাপকের পক্ষ থেকে কাগজপত্রাদি ২ মাসের মধ্যে রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংকে (বেনিফিশিয়ারি ব্যাংক) দাখিল করা হলেও রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক তা আহরণকারীকে পৌঁছাতে বিলম্বের কারণে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে গ্রাহকের নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে বিলম্ব এবং রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের হিসাবায়ন নিষ্পত্তিতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।

এ অবস্থায়, পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার অথবা পাঁচ লাখ টাকার অধিক রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা প্রাপ্তি এবং রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের হিসাবায়ন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রাপকের পক্ষ থেকে কাগজপত্রাদি দাখিলের পর রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক বিলম্ব না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা আহরণকারী ব্যাংক বরাবর প্রেরণ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এসআই/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।