৯ হাজার টাকা পাবেন করোনায় কাজ হারানো শ্রমিকরা
করোনাভাইরাসে রফতানিমুখী উৎপাদনশীল শিল্প খাতের কাজ হারানো শ্রমিকরা মাসে তিন হাজার করে টাকা পাবেন। টাকা দেয়া হবে তিন মাস পর্যন্ত। ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল আর্থিক পরিষেবার (এমএফএস) মাধ্যমে শ্রমিকদের এ টাকা দেয়া হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহযোগিতা দেয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মান সরকার। এ অর্থ কারা, কী প্রক্রিয়ায় পাবে, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে তৈরি পোশাক খাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য তৈরি খাতের শ্রমিকেরা এ সুবিধার আওতায় আসছেন। তবে নির্দিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কারখানার কর্মহীন শ্রমিকেরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন। অর্থাৎ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চামড়া খাতের সংগঠন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এলএফএমইএবি),বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সদস্যভুক্ত কারখানার কর্মহীন শ্রমিকেরা এ সুবিধা পাবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী যারা আট ধরনের শ্রমিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হবেন, তারা হলেন–
>> বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা অথবা রফতানিমুখী চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্প কারখানার শ্রমিক, যিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো কারখানায় পে-রোল অনুযায়ী কর্মরত ছিলেন।
>> যেসব শ্রমিক দুর্ঘটনাজনিত কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজে ফিরতে পারছেন না।
>> সন্তান জন্মদানকারী শ্রমিক, যিনি শ্রম আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাদি পাওয়ার শর্তের আওতাভুক্ত না হওয়ায় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং পুনরায় চাকরিতে বহালকৃত না।
>> করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত এবং কাজ করতে অক্ষম শ্রমিক।
>> যেসব শ্রমিক সাময়িক চাকরি হারিয়েছেন এবং শ্রম আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী আইনানুগ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার শর্তের আওতাভুক্ত নন। অর্থাৎ লে-অফ বা ছাঁটাইকৃত শ্রমিক, যাদের কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বা পরিষেবা দেয়ার সময়কাল একটানা বা নিরবচ্ছিন্ন এক বছর, বা ২৪০ দিনের কম হওয়ায় বা চাকরি আনুষ্ঠানিক চুক্তিভিত্তিক না হওয়ায়, শ্রম আইন-২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এর ২৩ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার শর্তের আওতাভুক্ত নয় এবং যিনি এখনও কর্মহীন রয়েছেন।
>> যিনি শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এর ধারা ২০ অনুযায়ী ছাঁটাইকৃত বা ১৬(৭) অনুযায়ী লে-অফকৃত ও পরবর্তী ছাঁটাইকৃত শ্রমিক এবং এখনও কর্মহীন রয়েছেন।
>> লে-অফকৃত শ্রমিক যারা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এর ধারা ১৬ অনুযায়ী এক বা দুই মাসের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কিন্তু এখনও কর্মহীন রয়েছেন।
>> ২০২০ সালের ৮ মার্চের পর স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের ফলে চাকরি হারানো শ্রমিক এবং যিনি এখনও কর্মহীন রয়েছেন।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমএস