শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় বাড়ল এক ঘণ্টা
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেনে সময় বাড়িয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়ল। বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শেয়ারবাজারের লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।
রেজাউল করিম আরও বলেন, এই লেনদেনে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিট প্রি-ওপেনিং সেশন থাকবে এবং লেনদেন শেষে ১৫ মিনিটের পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু থাকবে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিলে ব্যাংক লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর ব্যাংকের লেনদেন আধাঘণ্টা বাড়ানো হলে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় আধাঘণ্টা বাড়িয়ে সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আটদিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলে প্রথমে এ সময় পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আজ বুধবার পর্যন্ত এই সূচিতেই শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে।
এমএএস/এমএসএইচ/এমএস