‘এবার খরচের টাকা তোলাই কষ্টকর হয়ে যাবে’
ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। আগে এই সময়টায় ক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকতো দেশের দেশের অন্যতম বড় শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্ক। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে এবার সেই মুখরতা দেখা যাচ্ছে না যমুনা ফিউচার পার্কে। জমছে না কেনাকাটা। বিক্রেতারা বলছেন, করোনার প্রকোপে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাদের অনেকে।
শুক্রবার (৭ মে) দুপুরে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ক্রেতারাও মাস্ক পরেই মার্কেটে ঢুকছেন। তবে মার্কেটের আয়তন এবং দোকানের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা বেশ কম।

বিক্রয়কর্মীরা জানিয়েছেন, যমুনা ফিউচার পার্কে সাধারণত উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি। সে কারণে তাদের রুচি ও পছন্দের ওপর ভিত্তি করেই ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসেন। ২০২০ সালের আগে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটার সময় এলে ক্রেতাদের পদচারণায় যমুনা ফিউচার পার্ক মুখরিত হয়ে উঠতো। কিন্তু গত বছর করোনার প্রকোপ শুরু হলে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়।
তারা আরও জানান, এবার ঈদে ভালো বিক্রি হবে—এমন আশায় সব ব্যবসায়ী অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছেন। নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে এসেছেন। কিন্তু করোনার প্রকোপ রোধে সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

একটি স্বনামধন্য কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী হৃদয় জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছিলাম এবার ঈদে খুব ভালো বিক্রি হবে। কিন্তু লকডাউনের কারণ মানুষ মার্কেটে খুব কম আসছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে এবার খরচের টাকা তোলাই কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরেকটি কাপড়ের দোকানের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই মার্কেটের ক্রেতারা অভিজাত। তাদের রুচি-পছন্দের কথা চিন্তা করেই আমরা পণ্য তুলেছিলাম। আগে ঈদের সময় খুব ভালো বিক্রি হতো। কিন্তু গত বছর দেখা দেয়া করোনার কারণে সবকিছু বদলে গেছে। ঈদের আর এক সপ্তাহ বাকি নেই। কিন্তু দেখেন ক্রেতা নেই। আজ শুক্রবার এই অবস্থা, তাহলে অন্যদিন কেমন থাকে বুঝে নেন।’

বিক্রি খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যে যাই বলুক করোনা নিয়ে সবার মধ্যে ভয় আছে। সে কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। এছাড়া মার্কেট খোলার যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে, তার কারণেও ক্রেতা কম আসছে।’
আশরাফ নামে আরেক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে এবার আমাদের বিক্রি চার ভাগের এক ভাগও হয়নি। ঈদের এখনো যে কয়দিন বাকি আছে, এ কয়েকদিন মার্কেট খোলার সময় একটু বাড়িয়ে দিলে বিক্রি ভালো হতো।’
এমএএস/এসএস/এইচএ/এএসএম