এফবিসিসিআইয়ের প্রথম কাজ ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা
এফবিসিসিআই সবসময়ই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে আসছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে এসএমই উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মহামারিতে এফবিসিসিআই-এর প্রথম কাজ হবে এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় পরিচালনা করতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি-এফবিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মো. জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চেম্বার এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে স্থানীয় চেম্বার এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সংযোগ স্থাপনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যদে মতো তারাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এসব ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বললন, শুধু এসএমই না পুরো শিল্পের জন্য সবাইকে পাশে নিয়ে কাজ করবে নতুন বোর্ড। জেলাভিত্তিক বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসমূহকে ক্লাস্টারিং করে রফতানিমুখী শিল্পে পরিণত করার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। এসএমই খাতের উন্নয়নে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফলতা অর্জন করেছে। এসব দেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব। এফবিসিসিআই-এর কার্যক্রমকে আরাও গতিশীল করার জন্য এর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাজ হবে দেশের জন্য, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে। বর্তমানে শুধু ট্যাক্স ও ট্যারিফ দিয়ে শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুরক্ষা সম্ভব নয়। তাই উন্নত দেশসমূহ তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদেরকেও একইভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যসমূহ পূরণে ব্যবসায়ীদের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা যথাযথ পালনে একটি কার্যকরী এফবিসিসিআই গঠনের জন্য আমরা উদ্যোগ নিবো।
এফবিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি বলেন, পরিবর্তিত অর্থনীতির সঙ্গে সরকারের পলিসি সমন্বয়করণের উদ্যোগ নেয়া, আমদানি, রফতানি, শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাট বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, ই-ব্যবসার সঙ্গে দেশীয় শিল্পকে সম্পৃক্তকরণ, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে সম্প্রসারণ, মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নীতকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগ থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই-কে সম্পৃক্তকরণ, সরকারের গৃহীত স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ট্যুরিজমপার্ক এবং অন্যান্য শিল্পপার্ক স্থাপনে এফবিসিসিআই-এর কার্যকরী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন বোর্ড এসব বিষয়ের ওপর গবেষণার আলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নিবে এফবিসিসিআই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, হাবিব উল্লাহ ডন, আমিন হেলালী ও আমিনুল হক শামিম, সংগঠনটির সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাবেক সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ নবনির্বাচিত পরিচালকরা।
ইএআর/এএএইচ/জেআইএম