জি-৭৭ সভায় যোগ দিতে বলিভিয়া গেলেন শিল্পমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

প্রাকৃতিক সম্পদের সুব্যবস্থাপনা ও শিল্পায়ন বিষয়ক গ্রুপ-৭৭ (জি-৭৭) ভূক্ত সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় যোগদানের জন্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলিভিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা এর সহায়তায় জি-৭৭ এর চেয়ারম্যান বলিভিয়া এবং চীন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করছে। বলিভিয়ার তারিজায় ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সদস্য দেশগুলোর শিল্প, অর্থ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীরা অংশ নেবেন।

সভায় প্রাকৃতিক সম্পদের সুব্যবস্থাপনা ও শিল্পায়ন নীতি কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে জি-৭৭ ভূক্ত দেশ এবং চীনের মন্ত্রীরা বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এ উপলক্ষে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা ও গৃহিত টেকসই কর্মপন্থা সম্পর্কিত মুক্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আমির হোসেন আমু বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর সুরক্ষায় সরকার গৃহিত উদ্যোগ সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরবেন।

তিনি প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে জি-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নীতি ও আইন কাঠামো প্রণয়নের তাগিদ দেবেন। এছাড়া, তিনি বিকল্প প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেবেন। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ও বেআইনী ব্যবহাররোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ, নির্বিচারে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি সচেতন ও দায়বদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান জানাবেন। সভায় তিনি প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ে উদ্ভুত যে কোনো বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।

উল্লেখ্য, জি-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। দক্ষতার সাথে এ সম্পদ  আহরণ ও শিল্পায়নে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। তারিজায় অনুষ্ঠেয় এ সভা জি-৭৭ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, সুব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের অভিন্ন কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এতে অংশগ্রহণের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে গৃহিত উদ্যোগ ও কর্মসূচি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এ অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদারে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও উদ্যোক্তা সেবা বহুমুখীকরণের কৌশল নির্ধারণ সহজ হবে।

আন্তর্জাতিক এ ফোরামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রæপ-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র তৈরি হবে। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে প্রযুুক্তি  হস্তান্তর ও শিল্প কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিল্পমন্ত্রী আগামী ০৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।