বাণিজ্যমেলা
জামদানি ওয়ার্ল্ডে চলছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শেষ মুহূর্তে চলছে ছাড়ের ছড়াছড়ি। এদিকে জামদানি ওয়ার্ল্ডে চলছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়। এতে স্টলটিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জামদানি ওয়ার্ল্ডের স্টলে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ছাড় দিয়ে অরগাঞ্জা মসলিন শাড়ি তিন হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা, জামদানি থ্রি-পিস এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার পাঁচশ টাকা, জামদানি শাড়ি তিন হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা, জামদানি কাতান এক হাজার থেকে চার হাজার টাকা, টাঙ্গাইল শাড়ি আটশ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় শেষ সময়ে কোট-ব্লেজারে অফারের ছড়াছড়ি
খাদিজা আক্তার মুনা নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছরই বাণিজ্যমেলায় আসা হয়। তবে এবার একটু দেরি করে এসেছি। শেষ মুহূর্তে বিক্রেতারা আকর্ষণীয় ছাড়ে পণ্য বিক্রয় করছেন। আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে জামদানি শাড়ি। মেলায় আসবো কিন্তু শাড়ি কিনবো না, এটা হতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় খাবারপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে ‘ঝটপট’ স্টল
তিনি আরও বলেন, জামদানি ওয়ার্ল্ডের শাড়িগুলো খুব সুন্দর ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। সত্যি বলতে তাদের ডিজাইনের প্রতিটি শাড়ি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে, সঙ্গে ছাড়ও রয়েছে। কয়েকটি শাড়ি কিনবো, এজন্য পছন্দ করছি।
জামদানি ওয়ার্ল্ডের ইনচার্জ নাইম ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছরই মেলায় স্টল নিয়ে থাকি। প্রতিটি শাড়ি আমাদের কারিগররা খুব যত্নসহকারে তৈরি করেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে ক্রেতাদের যে চাহিদা ছিল পূর্বাচলে তেমনটা নেই।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় বিজলী ক্যাবলসে চলছে ছাড়
তিনি আরও বলেন, এছাড়া চট্টগ্রামে আমাদের অনেক ক্রেতা রয়েছেন। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় আমরা হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। মেলা শেষ হলেও অনলাইনে আমাদের পণ্যগুলো কেনার সুযোগ রয়েছে।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।
এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/আরএডি/এএসএম