কৃষি ঋণ যাবে প্রাকৃতিক হিমাগারে


প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজশাহীর এম মনজুর হোসেনের প্রাকৃতিক হিমাগার থেকে উৎসাহিত হয়ে এই খাতে অর্থায়নকে কৃষি ঋণের আওতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে  প্রাকৃতিক হিমাগার করতে প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকটি ব্যাংকে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে অর্থায়ন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকটি ব্যাংকে একটি করে হিমাগার করতে বলা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান জাগোনিউজকে বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকটি ব্যাংককে একটি করে প্রাকৃতিক হিমাগার করতে সিএসআর এর অর্থ ব্যবহার করতে বলব। তারা একটি করে করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব সিএসআর তহবিল থেকে একটি করে করা হবে। পরে এটিকে কৃষি ঋণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান জাগোনিউজকে বলেন, আমরা কৃষি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে এই হিমাগার করব। নূন্যতম আরো ৫০টি হিমাগার করার ইচ্ছে আমাদের আছে। কৃষি উৎপাদন যেসব এলাকাতে বেশি সেসব এলাকা বেছে নিয়ে এসব করা হবে।

জানা গেছে, রাজশাহীর পরে মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, জামালপুর ও টাংগাইলে হিমাগার করা হবে। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আসন্ন কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালাতে এই হিমাগারে বিনিয়োগ অন্তর্ভূক্তি করা হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে রাজশাহীতে হিমাগার করতে ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হলেও পরেরগুলো করতে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে। এ ধরনের হিমাগার যেমন ব্যয় সাশ্রয়ী, তেমনি পরিবেশ বান্ধব। তাই প্রাকৃতিক হিমাগারকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রসার করতে বিশেষ উদ্যোগ নিবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।