গোবিন্দভোগ ১২০, বোম্বাই লিচু ৪৫০ টাকা
বাজারে মৌসুমি ফলের ভরপুর সমাহার এখনো শুরু হয়নি। তবে সাতক্ষীরার আম ও ঈশ্বরদীর লিচু এসেছে বাজারে। নতুন এসব ফলের কদরও বেশি। তবে দাম চড়া।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ আম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু বাজারে হিমসাগর আমও দেখা গেছে, তবে ততটা নয়। এ আমের দাম পড়ছে ১৮০ টাকার ওপরে।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদীর বিখ্যাত বোম্বাই লিচু বাজারে এসেছে। প্রতি একশো লিচুর দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। কোথাও আরও বেশি চাওয়া হচ্ছে।
দেশের লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদী। তবে বাজারে এখনো ওই এলাকার বড় রসাল লিচু পুরোদমে আসতে শুরু করেনি। এখন যে লিচুগুলো বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আকারে খুব বেশি বড় নয়। যে কারণে এসব লিচুর দামে ক্রেতারা কিছুটা অস্বস্তি দেখাচ্ছে।
রামপুরা বাজারে মৌসুমি ফল কিনতে এসে শামসুজ্জামান বলেন, লিচু ছোট, তারপরেও দাম বেশি চাচ্ছে। শুরুতে একটু দাম বেশি থাকে। তবে এবার দামের তুলনায় লিচুর মান ভালো নয়। আবার অনেক বিক্রেতা দিনাজপুর থেকেও লিচু আসছে বলে জানান। তবে অন্যান্য এলাকার লিচুগুলো এখনো পরিপক্ব নয়।
বাড্ডা বাজারে লিচু বিক্রেতা সফিক মিয়া বলেন, এবার প্রচণ্ড গরমে লিচুর ফলন কম হয়েছে। সাইজও ছোট। তবে দাম বেশি।
কারওয়ান বাজারে পাইকারি ফল বিক্রেতা চাঁন মিয়া বলেন, এ মৌসুমের আবহাওয়া লিচুর জন্য প্রতিকূল ছিল। রাতে ঠান্ডাভাব ও দিনে প্রচণ্ড গরম ছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টিও হয়নি। ফলে শুরুতেই লিচুর ফুল বেরিয়েছে ৬০ শতাংশ। ফুল থেকে গুটি হওয়ার সময় তীব্র রোদে কিছু ঝরে গেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় গাছেই কিছু লিচু ফেটে নষ্ট হয়েছে। ফলে লিচুর সরবরাহ কম।
তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে মোজাফফর জাতের দেশি লিচু বিক্রির মধ্যদিয়ে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে বাজারে আসছে সুস্বাদু বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচু। তবে ঈশ্বরদীর বোম্বাই লিচুর পরিমাণই এখন বেশি।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় এখনো আম পরিপক্ব নয়। আমের দাম কিছুদিন পরে কমবে মন্তব্য করে বাড্ডা বাজারের আরেক ফল বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, এখন নতুন ফল, শুধু সাতক্ষীরা থেকেই বেশি আসছে। তাই দাম মোকামেও চড়া। কয়েকদিন পর সব এলাকার ফল এলে দাম কমে যেতে পারে।
ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম যেমনই হোক, নতুন এসব রসালো ফল কিনতে মানুষের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। বলা চলে, বেশ পুরোদমে আম-লিচু কেনাবেচা চলছে। পাইকারি বাজার থেকে ফলের দোকান এমনকি ভ্যানে লিচু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
মিন্টু হক নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে নতুন এলে দু-একদিন বাচ্চাদের জন্য নিতে হয়। দাম বিষয় না।
এনএইচ/এমএএইচ/জেআইএম