গণশিক্ষা উপদেষ্টা

বিজ্ঞান ও কর্মমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন বলেছেন, শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। সরকার বিষয়টি সামনে রেখে শিক্ষা পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই মাসে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহীদ ও বীর জুলাই যোদ্ধাদের। দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে যুগোপযোগী কারিকুলাম, পাঠদান পদ্ধতি, যথাযথ মূল্যায়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিধান রঞ্জন বলেন, বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই। এজন্য তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার ধারণা ও পদ্ধতির প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন-কর্ম, চাহিদা ও সামাজিক অভিজ্ঞতা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যুগে প্রবেশ করছি। এ যুগে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, শিক্ষার গুণগত মান যত শক্তিশালী হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের ভিত্তি তত দৃঢ় হবে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োগ করে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

‘আমাদের নতুন প্রজন্ম যদি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আয়ত্ত করে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, তা হলেই দেশের দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে একটি আধুনিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে গবেষণাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে’ বলেও উল্লেখ করেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ ভিডিও বার্তা দেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন উলকাসেমি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মাদ এনায়েতুর রহমান। এছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হক বক্তব্য দেন।

সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে এক হাজার ৯৭৫ শিক্ষার্থীর হাতে সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে তিনজন শিক্ষার্থীকে আচার্য স্বর্ণপদক ও ১৫ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

এএএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।